নিজস্ব সংবাদদাতা :–সিলেটের গোয়াইনঘাটে ডৌবাড়ী ইউনিয়নে বিয়ের দাবিতে হানিফ আহমদ নামের এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে অবস্থান করছেন কলেজ ছাত্রী। কিন্তু ছেলের পরিবার মেয়েকে ছেলের বউ হিসাবে কোনভাবেই মেনে নিতে রাজি নয়। এমনকি বিয়ের দাবিতে অবস্থান করায় ওই তরুণীকে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উটেছে হানিফের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের ঘোষগ্রামে। তরুণীর বাড়ি জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের লুতমহাইল গ্রামে।
গত শনিবার(২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে প্রেমিক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে অনশন শুরু করেন ওই কলেজছাত্রী। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য হানিফ আহমদ উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের ঘোষগ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে।
ভুক্তভোগী ওই তরুণীর পরিবার সুত্রে জানা জায়, প্রায় ১ বছর আগে হানিফের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে তাদের প্রেমের সম্পর্ক রূপ নেয় শারীরিক সম্পর্কে। প্রায় ছয়মাস আগে সে প্রেমিক হানিফকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। কিন্তু হানিফ বিয়েতে রাজি না হয়ে টালবাহানা শুরু করে। একসময় যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে। বাধ্য হয়ে শনিবার সন্ধ্যা থেকে সে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেছে। এদিকে হানিফের পরিবারের সদস্যরা ওই তরুনীকে মারধরের পর বাড়ি থেকে বের করে দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু ওই মেয়ে বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়েও প্রেমিকের বাড়ীতে অনশনে আছেন এখনও। তরুণীর দাবি বিয়ে না করলে এই বাড়ী হতে কোনভাবেই বের হবেননা।
তবে হানিফের পরিবারের দাবী মারধর ও নির্যাতনের বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট, তারা বলেন আমরা বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি, আমরা স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করবো।
অভিযুক্ত হানিফ আহমদ বলেন, ওই মেয়ের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল, কিন্ত ছয়মাস আগে থেকে মেয়ের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আমার। কিন্তু হটাৎ করে গত শনিবার ওই মেয়ে আমার বাড়ীতে এসে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেছে। এখন আমার আত্মীয়স্বজন মিলে ওই মেয়ের সাথে বিয়ের সিন্ধান্ত নিয়েছে।